টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিশন শেষ হয়ে গেছে বাংলাদেশের। তার পরেও টুর্নামেন্ট জমে উঠেছে তাদের কল্যাণে! বাংলাদেশের দেওয়া ৭৪ রানের মামুলী লক্ষ্য ৬.২ ওভারে টপকে গ্রুপের দুইয়ে উঠে গেছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশকে হারিয়েছে ৮ উইকেটে। তাতে সেমির সম্ভাবনা আরও উজ্জল হয়েছে অজিদের।
বাংলাদেশকে অল্পতে বেঁধে রাখাতেই প্রোটিয়াদের নেট রান রেটে পেছনে ফেলার সুযোগ তৈরি হয় অজিদের। ৭৪ রান ৮.১ ওভারে টপকে গেলেই সব কিছু তাদের অনুকূলে থাকতো। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারের আগ্রাসী সূচনায় তারও আগে শেষ হয়ে গেছে ম্যাচ। তাও আবার ৮২ বল বাকি রেখে। ২০ বলে ৪০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন ফিঞ্চ। ৪টি ছয় ও দুটি চার মেরে যখন ফেরেন, ততক্ষণে ৫ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৫৮ রান। ফিঞ্চকে বোল্ড করেছেন তাসকিন। ওয়ার্নার ১৪ বলে ১৮ রানে ফিরলেও ত্বরিত গতিতে রান তোলায় ছেদ পড়েনি। ওয়ার্নারকে বোল্ড করেন শরিফুল। মিচেল মার্শ ৫ বলে ১৬ রান তুললে ৬.২ ওভারে দুই উইকেট হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া।
গ্রুপ-১-এ ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট এখন অস্ট্রেলিয়ার। প্রোটিয়াদেরও সমান ম্যাচে ৬ পয়েন্ট। কিন্তু ১.০৩১ রান রেটে প্রোটিয়াদের পেছনে ফেলে তারা দুইয়ে উঠে গেছে। প্রোটিয়াদের রান রেট ০.৭৪২। তারা রয়েছে তিনে।
এর আগে টস হেরে নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। বাজে ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী অব্যাহত ছিল এই ম্যাচেও! বাংলাদেশের টপ অর্ডার ভেঙে দেন মূলত অস্ট্রেলিয়ান পেসাররা। ৩ ওভারে সাজঘরে ফিরেছেন লিটন, সৌম্য ও মুশফিক।
তবে সবচেয়ে সফল ছিলেন স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগানো এই লেগ স্পিনার কীর্তিটা গড়তে পারতেন যদি উইকেটকিপার ম্যাথু ওয়েড ক্যাচটা না ছাড়তেন। তারপরও জাম্পা পেয়েছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তার শিকার ৫ উইকেট। ম্যাচসেরাও হন তিনি। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন স্টার্ক ও হ্যাজেলউড।
অজিদের বোলিং নৈপুণ্যে মাত্র তিন ব্যাটার ডাবল ফিগারে পৌঁছাতে পেরেছেন। ওপেনার নাঈম করেন ১৭, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১৬ ও শামীম হোসেন করেছেন সর্বোচ্চ ১৯ রান। ব্যাটারদের অবস্থা দেখে মনে হয়েছে, যেন ব্যাটিং করাই তারা ভুলে গেছেন। আর তাতে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত করতে পারে ১৫ ওভারে ৭৩ রান।